ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনকে ৮ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী ওমর ফারুক ভার্চুয়াল আদালতে ঢাবি অধ্যাপকের পক্ষে শুনানি করেন।
গত বছরের ১ আগস্ট বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অতিম ভৌমিক বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাফিজুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ফেইসবুক পোস্টটি ছিল নোংরা এবং অপমানজনক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। অসাম্প্রদায়িক দেশে সরকারকে বিব্রত করতে এবং ধর্মীয় সহিংসতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অধ্যাপক কার্জন এই পোস্ট দিয়েছিলেন।
এর আগে ঢাবি অধ্যাপক বলেছিলেন, পোস্টটি ছিল স্যাটায়ার। যখন তিনি বুঝতে পারেন, এই পোস্টের কারণে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে, তিনি পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন। আমি ক্ষমা চেয়েছিলাম, এই মামলাটি শুধুমাত্র আমাকে হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।